বায়ােমেট্রিক্স কি? বায়োমেট্রিক্স এর প্রকারভেদ 

বায়ােমেট্রিক্স কি ( What is Biometrics)

গ্রিক শব্দ bio (life) ও metric (to measure) থেকে উৎপত্তি হয়েছে বায়ােমেট্রিক্স (Biometrics) এর। বায়ােমেট্রিক্স হলাে বায়ােলজিক্যাল, ডেটা মাপা এবং বিশ্লেষণ করার প্রযুক্তি।

Biometrics is the technology of measuring and analyzing biological, data.

তথ্য প্রযুক্তিতে বায়ােমেট্রিক্স সেই প্রযুক্তি যা মানুষের দেহের বৈশিষ্ট্য (যেমন-ডিএনএ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের রেটিনা এবং আইরিস, কণ্ঠস্বর, চেহারা এবং হাতের মাপ ইত্যাদি) এর উপর ভিত্তি করে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা হয়।

বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি যেভাবে কাজ করে(How Biometrics System Works)

বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি সাধারণত নিচের চারটি ধাপে কাজ করে।

১.ক্যাপচার (Capture)	শরীরবৃত্তীয় বা আচরণগত যে কোনাে অদ্বিতীয় বৈশিষ্ট্যকে শুরুতেই স্যাম্পল হিসাবে গ্রহন করা।
২ এক্সট্রাকশন (Extraction)	গ্রহণকৃত স্যাম্পলটিকে বিশ্লেষণ করা এবং টেম্পলেট তৈরি করে তা ডেটাবেস হিসাবে সংরক্ষণ।
৩.কমপারিজন (Comparison)	নতুন প্রাপ্ত টেম্পলেটকে ডেটাবেজে সংরক্ষিত টেম্পলেটের সাথে
৪. ম্যাচিং(Matching)	নতুন স্যাম্পল থেকে এক্সট্রাক্টকৃত ডেটা সংরক্ষিত টেম্পলেটের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে কি হচ্ছে না তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত প্রদান।

বায়ােমেট্রিক সিস্টেমের উপাদান (Elements of Biometrics System)

একটি বায়ােমেট্রিক্স সিস্টেমে সাধারণভাবে নিম্নোক্ত তিনটি উপাদান ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

• সেন্সর (Sensor) : অদ্বিতীয় যে কোনাে বৈশিষ্ট্যকে শনাক্ত করার জন্য সেন্সর ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

• কম্পিউটার (Computer): বিভিন্ন বায়ােমেট্রিক্স তথ্য পঠন এবং সংরক্ষণের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

• সফটওয়্যার (Software) : বিভিন্ন শরীবৃত্তীয় তথ্যসমূহ বিশ্লেষণ, তথ্যসমূহকে গ্রাফ বা কোডে পরিণত করা এবং নেউমেরিক ডেটাসমূহের মধ্যে সঠিক তুলনা পরিচালনা করতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

বায়ােমেট্রিক্স এর প্রকারভেদ (Classification of Biometrics) 

দেহের গঠন ও আচরণগত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি বিভিন্ন প্রকার হতে পারে। যেমন— 

ক)দেহের গঠন ও শারীরবৃত্তীয় বৈশিষ্ট্যের বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি

১. মুখ (Face) : মুখ বা চেহারার বৈশিষ্ট্য (facial characteristics) বিশ্লেষণ করা। 

২. ফিঙ্গারপ্রিন্ট (Fingerprint) : প্রত্যেকের আলাদা একক বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হাতের ছাপ বিশ্লেষণ করা। 

৩. হ্যান্ড জিওমেটরি (Hand Geometry) : হাতের গঠন (shape) এবং আঙ্গুলের দৈর্ঘ্যের মাপ বিশ্লেষণ করা। 

৫. আইরিস (Iris) : চোখের মণির চারিপার্শ্বে বেষ্টিত রঙিন বলয় (colored ring) বিশ্লেষণ করা। 

৬. রেটিনা (Retina) : চোখের পেছনের অক্ষিপটের (রেটিনার) মাপ বিশ্লেষণ করা। 

৭ শিরা (Ven) হাত এবং কজির শিরার প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করা।

৮ ডিএনএ (DNA) : কোষের মধ্যে অবস্থিত ডিএনএ বিশ্লেষণ করে ডিএনএ প্রােফাইলিং তৈরি করা।

খ আচরণগত বৈশিষ্ট্যের বায়ােমেট্রিক্স পদ্ধতি

১. কণ্ঠস্বর (Voice) : প্রত্যেকের কণ্ঠের ধ্বনির বৈশিষ্ট্য, সুরের উচ্চতা, সুরের মূৰ্ছনা, স্পন্দনের দ্রুততা

    ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা। 

২. সিগনেচার (Signature): হাতের দস্তখত বিশ্লেষণ করা। 

৩. টাইপিং কি স্ট্রোক (Typing Keystroke) : নির্দিষ্ট কোনাে পাসওয়ার্ড যা টাইপ করে এন্ট্রি করা হয় এবং

     বিশ্লেষণ করা।