বায়ােইনফরমেটিক্স কি? বায়ােইনফরমেটিক্স-এর ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা

বায়ােইনফরমেটিক্স কি? বায়ােইনফরমেটিক্স-এর ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা-

bioinformatics

বায়ােইনফরমেটিক্স (Bioinformatics)/ জৈবতত্ত্ববিজ্ঞান

জীববিজ্ঞানের সমস্যাগুলাে যখন কম্পিউটার প্রযুক্তি কৌশল (কম্পিউটেশনাল টেকনিক) ব্যবহার করে সমাধান করা হয়, তখন তাকে বায়ােইনফরমেটিক্স বলে। 

When problems in biology are solved using computational techniques, it is called bioinformatics.

বায়ােইনফরমেটিক্স ডিভাইস সাধারণত তিনটি প্রধান কার্য সম্পাদন করে থাকে। যথা-

• ডিএনএ ক্রম থেকে প্রােটিন সিকোয়েন্স নির্ণয় করা। 

• প্রােটিন সিকোয়েন্স থেকে প্রােটিন স্ট্রাকচার নির্ণয় করা। 

• প্রােটিন স্ট্রাকচার থেকে প্রােটিনের কাজ নির্ণয় করা

বায়ােইনফরমেটিক্স-এ ব্যবহৃত সফটওয়্যার টুলস

১. বায়ােইনফরমেটিক্স-এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডেটা মাইনিং, সফট কম্পিউটিং, ইমেজ প্রসেসিং, সিমুলেশন 

    অ্যালগরিদম ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।

২. সফটওয়্যার টুলস হিসাবে এতে Java, C#, XML, Python, Perl C, C++, R, SQL, CUDA, 

     MATHLAB, Spreadsheet analysis এপ্লিকেশন ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

৩. ওপেন সাের্স বায়ােইনফরমেটিক্স সফটওয়্যার হিসেবে Bioconductor, Bioperl, Biojava, Bioruby, 

     Bioclipse, EMBOSS, Taverne workbench, UGENE ইত্যাদি এবং ওয়েবভিত্তিক সফটওয়্যার 

     ব্যবহার করা হয়।

বায়ােইনফরমেটিক্স-এর ব্যবহার (Application of Bioinformatics)

• মলিকুলার মেডিসিন। • বায়ােটেকনােলজি  • মলিকুলার বায়ােলজির   বৈশিষ্ট্য     নির্ধারণ। • এন্টিবায়ােটিক রেজিস্টেন্স  • পার্সোনালাইজড মেডিসিন • মাইক্রোবেস-এর ফরেনসিক    বিশ্লেষণ।  • প্রিভেনটেটিভ মেডিসিন • বায়াে-অস্ত্র উৎপাদন

• শস্য উন্নয়ন।  • মাইক্রোবায়াল জিনােম    এপ্লিকেশন। • কীট প্রতিরােধ  • ওয়াস্ট ক্লিনআপ • পুষ্টির মান উন্নয়ন  • আবহাওয়া পরিবর্তন শিক্ষা • খরা প্রতিরােধ উন্নয়ন • বিবর্তন শিক্ষা  • ঔষধ উন্নয়ন

• ভেটেরিনারি বিজ্ঞান  • জেনেটিক ও জিনােম ডেটার    মধ্যে তুলনা  • জিন থেরাপি • জিন ফাইন্ডিং গবেষণা  • জীব বিবর্তনের নকশা তৈরি  • ডিএনএ অ্যানালাইসিস  • নতুন ডিএনএ সিকুয়েন্স তৈরি  • প্রােটিন টু প্রােটিন মিথস্ক্রিয়া।  • বিকল্প শক্তি উৎস।

বায়ােইনফরমেটিক্স এর সুবিধাসমূহ:

১. মলিকুলার (আণবিক) জেনেটিক্স এর ভিজুয়ালাইজেশনকে সম্ভব করে তােলে। 

২. বিপুল পরিমাণ পুনরাবৃত্তিমূলক এবং অ-পুনরাবৃত্তিমূলক তথ্যসমূহের সংরক্ষণে সহায়তা করে। 

৩. অ্যালগরিদমিক ডেটা মাইনিং করা সম্ভব। 

৪. প্যাটার্ন রিকগনিশন করা যায়।

বায়ােইনফরমেটিক্স এর অসুবিধাসমূহ:

১. এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি প্রযুক্তি। প্রকল্প চালিয়ে যেতে প্রচুর অর্থের প্রয়ােজন পড়ে।

২. এ প্রযুক্তি কিনতেও প্রচুর অর্থের প্রয়ােজন হয় এবং বেশ জটিল একটি প্রযুক্তি। 

৩. এর মাধ্যমে তথ্যের গােপনীয়তা ভঙ্গ হতে পারে। কারণ মেডিকেল ও জেনেটিক তথ্যাদি সংরক্ষণ ও 

     বিতরণ করা হয়ে থাকতে পারে। 

৪. জেনেটিক্যালি মডিফাইড ফসল কিংবা গৃহপালিত পশুপাখি ‘সুপার স্পিশিস’ সষ্টি করতে পারে যা 

     প্রকৃতিবিরুদ্ধ।

আরো পড়ুনঃ--

• বায়ােইনফরমেটিক্স কাকে বলে? বায়ােমেট্রিক্সে ও বায়ােইনফরমেটিক্স এর পার্থক্য

• বায়ােমেট্রিক্স কি? বায়ােমেট্রিক্স এর ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা