জিন কি? জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে, এর ব্যবহার ও উপকারিতা

Genetic Engineering

জিন কি?

বংশাণু বা জিন (ইংরেজি হলো Gene) জীবন্ত প্রাণের বংশগতির আণবিক একক। জীবদেহের ডিএনএ-এর বিভাজিত একক বৈশিষ্ট্যকে জিন বলা হয়।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (Genetic Engineering):

কোনাে জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন (Gene) বহনকারী DNA (Deoxyribonucleic acid) পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।

Jack Williamson) (1908-2006); প্রখ্যাত আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন রাইটার । তার প্রকৃত নাম জন স্টুয়ার্ট উইলিয়ামসন হলেও তিনি লেখালেখি করতেন জ্যাক উইলিয়ামসন নামে। তার লেখা ড্রাগনস আইল্যান্ড নামক সায়েন্স

ফিকশন গল্পেই সর্বপ্রথম জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং টার্মটি সায়েন্স ফিকশন টার্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পরবর্তীতে আধুনিক বিজ্ঞানে এর  সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবহার

বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যবহার হচ্ছে । বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদন, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, গবেষণায়,শিল্প ও কৃষিসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপক প্রয়োগ হচ্ছে।

• মানবদেহের ইনসুলিন তৈরির জিনকে ব্যাকটেরিয়া কোষে প্রবিষ্ট করে বাণিজ্যিকভাবে ইনসুলিন উৎপাদন হল এর সবচেয়ে বড় সুফল।

• শস্য ও পশুসম্পদকে বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।

• জিন থেরাপি জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর একটি সুফল।এর মাধ্যমে রোগের চিকিৎসা ও ত্রুটিপূর্ণ মানুষের জিন পরিবর্তন করে সুস্থ করে তোলা যায়।

• এর মাধ্যমে ইনসুলিন, হিউম্যান গ্রোথ হরমোন এবং ভ্যাক্সিন তৈরি করা যায়।

• টিকা ও জ্বালানি তৈরি করা যায়।

• জেনেটিক ত্রুটিসমূহ নির্ণয় করা যায় ইত্যাদি।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপকারিতা

• কৃষিক্ষেত্রকে সম্ভাবনাময় করে তুলেছে।

• নতুন খাবার উৎপাদনে বড় ভূমিকা রাখছে।

• রোগ প্রতিরোধের উন্নতি করতে সহায়তা করছে।

• কিটপতঙ্গ প্রতিরোধের জেনেটিক স্তর তৈরি করতে দেয়।

• ঔষধ গবেষণা কাজকে উন্নত করছে ইত্যাদি।